Trial of July Atrocities can be held at the International Crimes Tribunal

Trial of July Atrocities can be held at the International Crimes Tribunal

A seminar titled as “জুলাই গণঅভ্যুত্থান: সংবিধান, আইন ও গণহত্যার বিচার” was held at the University of Dhaka today (September 9, 2024), jointly organised by Subichar Trust and Center for Bengal Studies.

A report of the Seminar was published in Daily Jugantor, which is available at –

https://www.jugantor.com/index.php/national-others/850140

জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সম্ভব

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: সংবিধান, আইন ও গণহত্যার বিচার’ – এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজ এবং সুবিচার ট্রাস্টের যৌথ আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরসি মজুমদার আর্টস হলে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এ মতামত দেন তারা। 

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত নারকীয় হত্যাযজ্ঞকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে এর বিচারিক প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হতে পারে বলে মতপ্রকাশ করেছেন বক্তারা। 

সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। 

নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞকে আইনের ভাষায় গণহত্যা না বলে অভিহিত করেন মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে। 

অপরাধের বিচার এবং শাস্তির জন্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রক্রিয়ার তুলনামূলক পর্যালোচনা করে তিনি দেখান, বাংলাদেশের আদালতেই (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে) প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন ও পরিমার্জনের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা সম্ভব। 

ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে আলোচনা করেন। সাংবিধানিক দৃষ্টান্ত এবং দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে তিনি দেখান, বিদ্যমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য কোনো সাংবিধানিক জটিলতা নেই, বরঞ্চ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের ফল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া এই সরকার মূলত ছাত্র-জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবেই এসেছে।

সুবিচার ট্রাস্টের মুখপাত্র ব্যারিস্টার শাইখ মাহদীর সঞ্চালনায় সেমিনারে ঢাবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীসহ আইনজীবী, উন্নয়নকর্মী এবং সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন। সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থী-সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণ করা সব শহিদের স্মরণে শহিদ মিনার এবং এই রক্তাক্ত আন্দোলনের স্মৃতি রক্ষার্থে জাদুঘর নির্মানের দাবি উত্থাপন করেন।

Share this content: