Sakib Al Hasan’s return to Bangladesh in light of pending cases

Sakib Al Hasan’s return to Bangladesh in light of pending cases

Ajker Potrika published a report on the issue of Sakib Al Hasan’s return to Bangladesh due to pending cases, titled as “দেশে ফেরায় বাধা খুনের মামলা

The report is available in the link – https://epaper.ajkerpatrika.com/textview/124538/1420936608.html

The report is reproduced below

দেশে ফেরায় বাধা খুনের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া সাকিব আল হাসান আগামী মাসে (অক্টোবর) দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলতে চান। তবে বিশ্ব ক্রিকেটে দেশের সবচেয়ে বড় তারকার এই ইচ্ছা পূরণে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে হত্যা মামলায় তাঁর নাম থাকা। তাই দেশে ফিরলে তিনি গ্রেপ্তারও হতে পারেন।

এ জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জীবনের শেষ টেস্ট খেলতে দেশে ফিরতে সাকিব আছেন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। তিনি দেশে ফিরে নিরাপদে খেলার এবং পরে আবার বিদেশ যাওয়ার নিশ্চয়তা চাইছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের কানপুরে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার সময় এমন আভাসই দিলেন তিনি।

আইনজীবীরা বলছেন, ঘটনার সময় সাকিব দেশে ছিলেন না। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নির্ভর করছে সরকারের ওপর। এ ছাড়া হাইকোর্ট বা নিম্ন আদালত থেকে তাঁর জামিন নেওয়ার সুযোগ থাকছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল অবশ্য ইতিপূর্বে সাকিবের বিষয়ে বলেছেন, মামলা হওয়া মানেই তো গ্রেপ্তার নয়।

ক্রিকেট তারকা সাকিবের আরেক পরিচয় তিনি বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি বিদেশে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি পাকিস্তানে গিয়ে টেস্ট সিরিজ খেলেছেন। পাকিস্তান থেকে যান যুক্তরাজ্যে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে। সেখান থেকে যান ভারতে। অর্থাৎ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী

লীগ সরকারের পতনের পর তিনি দেশে ফেরেননি। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তাঁকেও আসামি করা হয়েছে। অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঢাকার মিরপুরে টেস্ট খেলে অবসর নিতে চাইলে তাঁকে দেশে ফিরতে হবে।

ঢাকায় শেষ টেস্ট খেলার সম্ভাবনার বিষয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘আমি যেন গিয়ে খেলতে পারি এবং নিরাপদ অনুভব করি। আবার দরকার হলে দেশের বাইরে আসতে যেন আমার কোনো সমস্যা না হয়। বোর্ড বিষয়গুলো খেয়াল করছে। বিষয়গুলোর সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁরা দেখছেন, হয়তো আমাকে একটা সিদ্ধান্ত দেবে। যার ভিত্তিতে আমি দেশে গিয়ে খুব ভালোভাবে খেলে অন্তত টেস্ট ফরম্যাট ছাড়তে পারব।’

অবশ্য গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ বোর্ডের সভা শেষে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। তাঁকেই (সাকিব) এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বোর্ড থেকে এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।’

সাকিবের বিষয়ে ইতিমধ্যে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, সাকিবের বিরুদ্ধে শুধু মামলা হয়েছে। মামলা বা এফআইআর হওয়া মানে তো গ্রেপ্তার নয়। তাঁর বিশ্বাস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে কেউ অতি উৎসাহী হয়ে গ্রেপ্তার না করতে যায়।

৩ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মামলা হওয়ার অর্থ যত্রতত্র গ্রেপ্তার নয়। এসব মামলার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে মামলা হয়েছে এটি আমলযোগ্য অপরাধ। সাকিব দেশে এলে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা থাকলেও বিষয়টি সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে। কেননা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হতে। ঘটনার সময় সাকিব দেশে ছিলেন না। তাই মনে হয় না, সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করবে। যেহেতু মামলা হয়েছে, তাই দেশে ফিরে প্রথমে হাইকোর্ট এবং পরে নিম্ন আদালত থেকে জামিন নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

মামলা থাকায় সাকিবের দেশে ফিরে আদালত থেকে জামিন নেওয়া উচিত বলে মনে করেন ব্যারিস্টার শাইখ মাহদীও। তিনি বলেন, আমলযোগ্য অপরাধে গ্রেপ্তার হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে সরকার পরিবর্তনের পর কিছু মামলা হয়েছে, যেখানে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকার পরও কাউকে কাউকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সময় সাকিব আল হাসান দেশে ছিলেন না। তাই মনে হয়, এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে না।

Share this content: